রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল, করোনা টেস্ট ফি প্রত্যাহার করা, মাগুরা জেলায় করোনা টেস্ট ল্যাব ও জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন করার দাবিতে মাগুরায় করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় গণকমিটি মানববন্ধন করেছে ।
আজ সোমবার সকালে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় । মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গণকমিটির আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ ,আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদী, মাগুরা জেলা ।পরিচালনা করেন যুগ্ম সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু ,বাসদ, কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য । বক্তব্য প্রদান করেন যুগ্ম আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী ,বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি, সদস্য সচিব এটিএম আনিসুর রহমান , সিপিবি মাগুরা শহর কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলা শাখার সদস্য এ এফ এম বাহারুল হায়দার বাচ্চু ।
বক্তাগণ বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটে এতই বেপরোয়া হয়ে পড়েছে যে দেশের সকল প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক শক্তি এবং শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে। স্কপ এর পক্ষ থেকে দেয়া ১০০০/ ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটকলসমূহ আধুনিকায়নের মাধ্যমে লাভজনক করার প্রস্তাব উপেক্ষা করে লোকসানের অজুহাতে ৫০০০ কোটি টাকা ব্যয় করে রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ বন্ধ করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করলে ২শ’ টাকা আর বাসায় গিয়ে টেস্ট করলে ৫শ’ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা মানুষের জন্য চিন্তা করে না। তারা স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে না পেরে এখন মানুষের পকেট কাটছে। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে এই ফি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় ।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, করোনা দুর্যোগের শুরুতেই মাগুরা জেলা গণকমিটির পক্ষ থেকে মাগুরা জেলায় করোনা টেস্ট ল্যাব, জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের দাবি জানান হয়েছিল । এই ৪ মাসে সেটা বাস্তবায়ন করাও কঠিন ছিল না । কিন্তু সেটা না হওয়ায় এখন আমাদের জেলায় ২/৩ দিন ধরে কোন ফলাফলই আসে না । নমুনা দিলে ৬/৭ দিন পর জানতে পারা যায় করোনা পজিটিভ কিনা। মাগুরা জেলায় ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই রিপোর্ট আসার আগে মারা গেছেন । মাগুরা জেলা হাসপাতালে আইসিইউ নেই, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা নেই। ফলে করোনা রোগী চিকিৎসার প্রাতিষ্ঠানিক কোন আয়োজনই নেই। এজন্য শনাক্ত বিবেচনায় আমাদের জেলার করোনা রোগীর মৃত্যু হার অনেক বেশি (২.৪%)।অবিলম্বে এসর দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ ।