মাগুরা প্রতিনিধি – মাগুরা শহরের ভায়না এলাকার মুন্সী পাড়ায় বটি দিয়ে কুপিয়ে ফাতেমা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। তিনি মাগুরা জজ আদালতের ভেন্ডর ওয়াহিদুজ্জামান অনু মুন্সির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী।
মাগুরা সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বিকালে মাগুরা শহরের ভায়না মুন্সি বাড়িতে একটি হত্যাকান্ডের খবর পায়। পরে মাগুরা সদর থানার তিনটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে দেখি একজন গৃহবধু তার নিজ ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় দেখা যায় তাকে হাত ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এবং মৃতের পাশে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত একটি ধারালো বটি পড়ে আছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা যায় ফাতেমা বেগম ওয়াহিদুজ্জামান অনু মুন্সির দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী পার্শবর্তী এলাকা ভিটাসার এ আলাদা বাসায় বসবাস করেন। প্রথম পক্ষে তার ২ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সে গত একবছর আগে ফাতেমা বেগম কে ২য় বিবাহ করেন। ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছে।
নিহতের বোনের মেয়ে স্বপ্না খাতুন জানান, বিবাহের পর থেকেই তার খালার সাথে খারাপ আচরণ করতো তার খালুর প্রথম পক্ষের ছেলেরা। বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। তার অভিযোগ খালা ফাতেমা বেগমকে তার প্রথম পক্ষের ছেলেরায় হত্যা করেছে।
নিহতের স্বামী ওহিদুজ্জামান জানান, তিনি মাগুরা জজ কোর্টের সামনে ষ্টাম্প ভ্যান্ডারের ব্যবসা করেন। গত ছয়মাস আগে পরিবারের সম্মতিতে ফাতেমার সাথে তার বিয়ে হয়। প্রতিদিনের মত আজ মঙ্গলবার কর্মস্থলে কাজ করছিলাম। ছোট ভাইয়ের ফোন পেয়ে বাড়িতে এসে স্ত্রীর গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পাই। প্রতিবেশি কারও সাথে কোন বিরোধ ছিল না দাবি করলেও স্ত্রী হত্যায় ছেলে জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
ইতোমধ্যে হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটনে সিআইডিসহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহ জেলা থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনা স্থলে পৌছে নিহত ফাতেমা বেগমের হত্যা কা-ের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন এবং হত্যা কা-ের রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা করছেন।