ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবারকে আর্থিক জরিমানা করায় অবৈধ সালিশে যুক্ত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাগুরা জেলা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় গণকমিটি। আজ ২৪ জুলাই সকাল ১০টায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ সকল দাবি জানানো হয় ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গণকমিটির আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ (আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদী, মাগুরা জেলা) ও পরিচালনা করেন যুগ্ম সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু (বাসদ, কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য)। বক্তব্য প্রদান করেন যুগ্ম আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী (বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি), সিপিবি মাগুরা জেলা কমিটির সদস্য সৈয়দা শামছুন্নাহার জোছনা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নে এক স্কুল ছাত্রী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ধর্ষককে কোন ধরনের শাস্তি না দিয়ে গ্রাম্য সালিশে ওই ভুক্তভোগী পরিবারটিকেই ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ‘জরিমানা’ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। কথিত জরিমানার টাকা দিতে না পারায় ২০ জুলাই পরিবারটির গরু, ছাগল, সেচযন্ত্র, ভ্যান, বাইসাইকেলসহ বেশ কিছু জিনিস বাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভুক্তভোগী পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রথমত এটি একটি অবৈধ সালিশ। দ্বিতীয়ত সালিশে বাংলাদেশের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ধর্ষককে কোন ধরনের শাস্তি না দিয়ে উল্টো ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীর পরিবারকে জরিমানা করা হয়েছে। তৃতীয়ত ভুক্তভোগীর পরিবারে লুটপাট করা হয়েছে। এইসবগুলোই গুরুতর অপরাধ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীর শাস্তি না হওয়ায় নির্যাতন ও ধর্ষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর বর্বরতার দিক দিয়েও তা যেন আগের নির্যাতনের মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ১০০ নারী ধর্ষণের মামলার ৯৭ টির-ই কোন বিচার হয় না। টাকা আর ক্ষমতার দাপটে অপরাধীরা অধিকাংশ সময় পার পেয়ে যায়।
অতিদ্রুত ধর্ষক এবং এমন বর্বর সালিশের সাথে যুক্ত সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
বি/কে, মাগুরা নিউজ টুডে।